আমাদের শ্বাস নেওয়ার রাস্তা রয়েছে। এর জন্য তিনটি ফুটো রয়েছে। নাকের দুই ফুটো এবং মুখ দিয়ে একটি শ্বাসের রাস্তা। তো অনেক সময় নাক বন্ধ থাকে তখন আমরা মুখ দিয়ে শ্বাস নিই। অথবা একটি বন্ধ থাকলে আরেকটি ব্যবহার করি। আমাদের উচিত যে স্বাভাবিক সেটাই বন্ধ করা। বেশির ভাগ ডাকা শুরু হয় নাক বন্ধ থাকার কারণে বা নাকে যদি কোনো সমস্যা হয় তখন।
দেখা যায়, নাক ডাকার শব্দটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে একটা সময় গিয়ে দমটা বন্ধ হয়ে যায়। এটাকে এপিনিয়া বলি। যখনই এই নাক ডাকা শুরু হয়, তখনই রক্তের মধ্যে অক্সিজেনের পরিবহন ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে এবং একটা কঠিন অবস্থায় চলে যায়। যখন দম বন্ধ হয়ে যায়, তখন অনেক কমে যায়। এর ঝুঁকিও রয়েছে। এটি তার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়, দেখা যায় সে ধড়ফড় করে উঠছে। শরীর যখন খুব বেশি খারাপ অবস্থায় চলে যায়, তখন এটা হয়। এর ফলে দেখা যায়, যেখানে আমরা সবাই বিশ্রাম নিই সেখানে সে সংগ্রাম করছে। এর প্রভাবটা তার দৈনন্দিন কাজের ওপর পড়ছে। এর ফলে সারা দিন সে ঘুমাচ্ছে, ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছে। ধীরে ধীরে মনোযোগও কমে যেতে থাকে। অনেকে দুর্বলতা বোধ করতে পারে। রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক মানে তো রক্তের মধ্যে অক্সিজেন যাচ্ছে না। নাক ডাকার কারণে যদি শরীরে অক্সিজেন ধীরে ধীরে কমে যায় তাহলে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। বেশির ভাগ হার্ট অ্যাটাক হয় ভোর রাতের দিকে। অনেক সময় দেখা যায়, মোটা মানুষ খেয়েদেয়ে ঘুমালো, তখন বুকের ভেতর একটা চাপ হয়। আবার নাকও ডাকল। এতে অক্সিজেন পরিবহন কমে গেল। সবগুলো মিলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি কারণ হিসেবে কাজ করছে। এ জন্য নাক ডাকাকে আমাদের অবশ্যই জরুরি বিষয় হিসেবে নেওয়া উচিত।