বর্তমান সময়ে প্রতিটি সেক্টরে উন্নতির সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নতি। এর প্রায় সবটুকুর দাবিদার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। ডাক্তার প্রশিক্ষণ, রোগ নির্ণয়, ঔষধ তৈরি, অজানা রোগ গবেষণা ইত্যাদি কাজে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে আসছে।
মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণে শরীরের বিভিন্ন জটিল ও সংবেদনশীল অংশের গঠন যা স্বচক্ষে দেখলে যে অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তা বার বার দেখার সুযোগ থাকায় তার চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব হচ্ছে এবং ঐ সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তব জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
টেলিমেডিসিনঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক - ইত্যাদি সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।
টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে একদেশে অবস্থান করে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা নেওয়া যায়। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়েও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট হতে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বাংলাদেশের নাগরিকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারে।