129 বার প্রদর্শিত
in ইসলাম করেছেন

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে কাজা আদায় করতে হয় না। কাজা নামাজ পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। যখনই স্মরণ হবে এবং সুযোগ হবে তখনি পড়ে নিতে হবে। তবে নিষিদ্ধ সময়গুলোতে মনে পড়লে অপেক্ষা করতে হবে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামাজ কাজা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্হায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাজা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাজটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৪৩৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)। কাজা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো প্রত্যেক নামাজের সময় একাধিক ওয়াক্তের কাজা আদায় করে নেয়া। যেমন কোনো ব্যক্তি যোহরের নামাজের আজানের পর সেদিনকার ফরজ নামাজ পড়ার আগে কাজা নামাজ আদায় করল পরে সেদিনকার নামাজ পড়ল। কারো যদি একাধিক সালাত কাজা হয়ে যায় তবে কোন সালাত থেকে তা আরম্ভ করবে? মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার বুন্দার (রহঃ) জাবির ইবনু আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এসে কাফির কুরায়শদের তিরস্কার করতে লাগলেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন হে আল্লাহর রাসূল, আমার আসরের সালাত প্রায় ফওত হয়ে যাচ্ছিল। এমন কি সূর্যও ডুবে যচ্ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! আমিও তা আদায় করতে পারিনি। জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন এরপর আমরা ‘‘বুতহান’’ এ অবতরণ করলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও অযু করলেন আমরাও অযু করলাম। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত আদায় করলেন এবং পরে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। (সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৮০ হাদিসের মানঃ সহিহ)। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, মুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চার ওয়াক্ত সালাত আদায়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এমনকি রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে যায় কিন্তু তিনি সালাত আদায় করতে পারলেন না। পরে তিনি বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে আযান দিতে বললেন। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহ আযান দিয়ে ইকামত দিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোহরের সালাত আদায় করলেন। পরে আবার তিনি ইকামত দিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত আদায় করলেন। পরে তিনি আবার ইকামত দিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি পুনরায় ইকামত দিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাত আদায় করলেন। (সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৭৯ হাদিসের মানঃ হাসান)।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
03 জানুয়ারি 2021 in ইসলাম জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 উত্তর
21 এপ্রিল 2022 in ইসলাম জিজ্ঞাসা করেছেন মোঃ তানহা
3 টি উত্তর
02 মে 2021 in ইসলাম জিজ্ঞাসা করেছেন Abdus Salam

20,868 টি প্রশ্ন

22,964 টি উত্তর

454 টি মন্তব্য

1,248 জন সদস্য

বিভাগসমূহ

...