খিচুড়ি রান্না করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলোঃ পরিমান ও উপকরণঃ (৬/৭জনের জন্য) — চিকন চাল, ৭৫০ গ্রাম – মুগ ডাল, ২৫০ গ্রাম – মুশরী ডাল, ২৫০ গ্রাম – পেঁয়াজ কুঁচি, কয়েকটা – আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ – রসুন বাটা, ১ চা চামচ – গুড়া লাল মরিচ, হাফ চা চামচ – গুড়া হলুদ, এক চা চামচের কিছু কম (যারা খিচুড়ি একটু বেশী হলদে করতে চান তারা একটা বেশী দিতে পারেন) – এলাচি, কয়েকটা – দারুচিনি, কয়েক পিস – কয়েকটা কাঁচা মরিচ কুঁচি, ঝাল বুঝে – লবন (লবন প্রথম চোটে কম দিবেন, পরে লাগলে দিবেন) – তেল, পনে এক কাপ বা এক কাপ – পানি, পরিমান মত প্রনালীঃ চাল ডালের মিশ্রনঃ মুগ ডাল সামান্য ভেজে নিয়ে পানিতে ধুয়ে ফেলুন এবং চাল ও মুশরী ডালের সাথে মিশিয়ে নিন। চাল ও ডাল গুলো মিশিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন এবং এর পর মুল রান্নায় নেমে পড়ুন। মুল রান্নাঃ ১, তেল গরম করে তাতে এলাচি ও দারুচিনি দিন। ২, এবার পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ দিন। (কাঁচা মরিচ তেলে ফুটে উঠে তাই সাবধানে বা চিরে দিতে পারেন) ৩, এবার আদা, রসুন, মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিয়ে দিন। এই সময়ে এক চা চামচ লবন দিন। (রঙ বেশি কড়া চাইলে সামান্য হলুদ বেশি দিতে পারেন) ৪, ভাল করে ভেজে নিন। ঘ্রান বের হবে। ৫, এবার চাল ডাল দিয়ে দিন। ৬, ভাল করে ভেজে নিন। ৭, এবার পানি দিন। ৮, পানি চালের দেয় ইঞ্চি উপরে হতে হবে এবং এই সময়ে ফাইন্যাল লবন দেখুন। পানি কটা হতে হবে, লাগলে আরো লবন দিন। (নুতন চালের ক্ষেত্রে পানি কম লাগে) ৯, এবার ঢাকনা দিয়ে দিন,আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে। ১০, মাঝে মাঝে দেখে নিতে পারেন, না দেখেও মিনিট ১৫ পরে দেখলেও চলে। ১১, এই অবস্থায় এসে যাবে। এবার নাড়িয়ে দিতে পারেন। ১২, এবার দেশি কায়দায় দম দিতে পারেন। (পাতিলের তলায় আসলে একটা লোহার খোলা বসিয়ে দিতে পারেন, এতে আগুন কম লাগবে এবং আস্তে আস্তে হয়ে যাবে) ১৩, ঠিক এমনি হয়ে যাবে। যদি দেখেন চাল শক্ত আছে তবে পানির ছিটা দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে রাখুন কিছু সময়ে আর যদি দেখেন নরম হয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে ঢাকনা খুলে ভাল করে নাড়িয়ে দিন। (এই ধরনের রান্না ছড়িয়ে চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না।) ১৪, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।