101 বার প্রদর্শিত
in ঢাকা করেছেন
বাংলা প্রতিবেদন চাই।

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

যুবসমাজই আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার। তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় হ’লে দেশ ও জাতি নিমজ্জিত হবে অধঃপতনের অতল তলে। তাই তাদের অধঃপতন প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে প্রয়োজন যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে কতিপয় প্রস্তাবনা পেশ করা হ’ল-

১. যুবকদের মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা :

মানুষের মধ্যে সৎ কাজের উদ্দীপক ও প্রেরণাদায়ক এবং অসৎ কাজ থেকে বাঁচার মত একটি শক্তিশালী অনুভূতির নাম হচ্ছে তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি। বর্তমানে ঘুণে ধরা যুবসমাজকে পাপাচার, মন্দকাজ ও নৈতিক অধঃপতন থেকে উত্তরণের সর্বোত্তম পথ হচ্ছে তাদের মধ্যে তাক্বওয়া বা আল্লাহভীরুতা সৃষ্টি করা। যখন সে জানবে এবং বুঝবে যে, আমার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য ছোট-বড় যাবতীয় কথাবার্তা ও কর্মকান্ড আল্লাহপাক দেখছেন এবং ফিরিশতাগণ তা লিপিবদ্ধ করছেন। এর জন্য একদিন অবশ্যই আমাকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। যখন সে বুঝবে যে, কবরের আযাব, হাশরের ময়দান এবং জাহান্নামের শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ, তখনই সে তার যাবতীয় উদ্যম, জোশ, বল-শক্তি, উদ্দীপনা ও চিন্তা-চেতনাকে সুসংহত রাখবে এবং অসৎ পথে ব্যবহার থেকে দূরে থাকবে। যা দুনিয়াবী কোন আইনের পক্ষে সম্ভব নয়। যদি তারা ভুল করে কোন অন্যায় পথে পা বাড়ায় তাহ’লে তাক্বওয়ার বলেই তওবা করে নিজের পাপ কাজ অকপটে স্বীকার করে দুনিয়াবী যেকোন শাস্তিকে হাসিমুখে বরণ করে নেবে। এর বাস্তব প্রমাণ আমরা দেখতে পাই ছাহাবীদের জীবনে। যুবক মা‘ইয বিন মালিক (রাঃ) যেনা করার পর পরকালীন শাস্তির ভয়ে তওবা করে এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট নিজের অপরাধ স্বীকার করে। অতঃপর তাকে রজম করা হয়। একইভাবে আযদ বংশের গামেদী গোত্রীয় এক যুবতী মহিলা তাক্বওয়ার বলে বলীয়ান হয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে নিজের যেনার অপরাধ স্বীকার করে। অতঃপর তাকেও রজম করা হয়।[11] কোন সে আদর্শ ও শক্তি! যা ছাহাবীদেরকে নিজের অপরাধ স্বীকার করে দুনিয়াবী সর্বোচ্চ শাস্তি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল? এর জবাবে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, ইসলামী আদর্শ ও তাক্বওয়া। তাই যুবসমাজের মাঝে তাক্বওয়ার করতে পারলে ইনশাআল্লাহ তারা তাদের নীতি-নৈতিকতা ধূলায় ধূসরিত হতে দিবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوْتُنَّ إِلاَّ وَأَنْتُم مُّسْلِمُوْنَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করো এবং প্রকৃত মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)

২. শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো :

মহান আল্লাহ বলেন, اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন’ (‘আলাক ১)। এর মাধ্যমে শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য যে, নৈতিক ও বৈষয়িক জ্ঞানের সমন্বয়ে প্রণীত শিক্ষা ব্যবস্থাই হ’ল পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা। মানবীয় জ্ঞানের সাথে যদি অহি-র জ্ঞানের আলো না থাকে, তাহ’লে যে কোন সময় মানুষ পথভ্রষ্ট হবে এবং বস্ত্তগত উন্নতি তার জন্য ধ্বংসের কারণ হবে। বিগত যুগে কওমে নূহ, আদ, ছামূদ, শো‘আয়েব এবং ফেরাঊন ও তার কওমের পরিণতি, আধুনিক যুগে ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং সাম্প্রতিককালের বসনিয়া, সোমালিয়া, কসোভো এবং সর্বশেষ ইরাক ও আফগানিস্তান ট্রাজেডী এসবের বাস্তব প্রমাণ বহন করে।[12]

যুবসমাজের নৈতিক অধঃপতন প্রতিরোধে তাওহীদ ও রিসালাতের ভিত্তিতে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশে প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বিমুখী ধারাকে সমন্বিত করে একক ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সেই সাথে নিম্নোক্ত কাজগুলো করা দরকার।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
1 উত্তর
1 উত্তর
30 সেপ্টেম্বর 2021 in ঢাকা জিজ্ঞাসা করেছেন No.1samrat
2 টি উত্তর
04 জুন 2021 in মোবাইল ফোন জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
1 উত্তর
03 জানুয়ারি 2021 in ইসলাম জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 উত্তর
21 ডিসেম্বর 2022 in সাধারণ জ্ঞান জিজ্ঞাসা করেছেন Rifat766

20,868 টি প্রশ্ন

22,964 টি উত্তর

454 টি মন্তব্য

1,248 জন সদস্য

বিভাগসমূহ

...